
পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে কুলঞ্জ গ্রামের যুবলীগ নেতা মাহবুব চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা রামদা,দা হকি স্টিক,এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে হাসপাতালের বেড থেকে অভিযোগ করেছেন গুরুতর আহত হওয়া সাদিক তালুকদার।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের, কুলঞ্জ নতুন গ্রাম নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন সাদিক তালুকদার। এ সময় ঘড়ে থাকা সাদিক তালুকদারের মা (মনরা বেগম) ও গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুলঞ্জ পুরাতন গ্রাম থেকে পরিকল্পিতভাবে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা কুলঞ্জ নতুন গ্রামে সাদিক তালুকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়িতে প্রবেশ করে রামদা,দা হকি স্টিক,এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলায় শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
হামলার পর দুর্বৃত্তরা সাদিক তালুকদারের মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা আকিলশাহ বাজারের লটারির ২,৩০,০০০( দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে, সাদিক তালুকদার অভিযোগ করেন কুলঞ্জ গ্রামের যুবলীগ নেতা মাহবুব চৌধুরীর ছেলে মুমাদ চৌধুরী (২০), মশাহিদ চৌধুরী’র ছেলে ফরহাদ চৌধুরী (২৫), মমশাদ চৌধুরী’র ছেলে ইমন চৌধুরীর (২৪), আনহার চৌধুরী’র ছেলে আতহার চৌধুরী(২৫), শুকুর সহ আর কয়েকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলা চালায়।
কুলঞ্জ ইউনিয়ন ০৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো এলাইছ তালুকদার জানান, গত ১০ই মার্চ কুলঞ্জ গ্রামের মজনু তালুকদার এর জমিতে ৯ নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুব চৌধুরীর গরু দিয়ে জমিনের ধান খাওয়ায় উনার রাখাল এবং অনেক ফসল নস্ট করে ফেলে,পরবর্তীতে মজনু মিয়া মাহবুব চৌ: কাছে নালিশ দিলে তিনি উল্টো মজনু মিয়াকে রাখাল সহ ৮/১০ জন মিলে অন্যায় ভাবে লাটি পিটা করা হয়।একই দিন বিকেলে (১০ মার্চ ) গ্রামের রাস্তার কাজের অনিয়মে যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুব চৌধুরীকে বাধা প্রধান করেন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো এলাইছ তালুকদার। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অত্র ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এলাইছ তালুকদার ও স্হানীয় যুবলীগ সহ সভাপতি মাহবুব চৌধুরীর উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয় মিমাংসা করার উদ্দেশ্য ১৩ মার্চ রাত ১০ টায় – সাবেক এম পি জনাব নাছির উদ্দীন চৌধুরীর বাড়িতে শাবান চৌধুরীর সভাপতিত্বে, কুলঞ্জ ডেভেলপমেন্ট অর্গেনাইজেশন সভাপতি মিজান চৌধুরী সহ গ্রামের অনেক মুরুব্বিয়ান পঞ্চাতের আয়োজন করেন, পঞ্চাতের এক পর্যায়ে মিমাংসার কথা অমান্য করে উত্তেজিত হয়ে পুর্বপরিকল্পিতভাবে যুবলীগ নেতা মাহবুব চৌঃ ও তার সম্বন্ধিক মফরুজ চৌঃ নেতৃত্বে রামদা,দা হকি স্টিক,এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার মরণাক্রম্য আক্রমণ চালায়। যুবলীগের নেতা মাহবুব চৌধুরীর সন্ত্রাস বাহিনীর আক্রমণ থেকে জীবন বাঁচাতে কিছু মানুষ সেখান থেকে বেড়িয়ে আসেন কিন্তু আসতে পারেননি এলাইছ তালুকদার, হাসিম তালুকদার, জুয়েল তালুকদার, ফজলু তালুকদার ও পিয়ার আলী তালুকদার তারা সবাই ঘটনার স্হানে আটকে পরে যান।
পঞ্চাতে উপস্থিত থাকা সাবেক এম পি জনাব নাছির উদ্দীন চৌধুরীর ভাই সেলিম চৌধুরী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বাচাঁতে তার নিজ বাড়িতে হেফাজতে রাখেন। সেই বাড়িতেও মাহবুব চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা চালালে এক পর্যায়ে দিরাই থানার পুলিশ এসে তাদের’কে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে দিয়ে আসে।
এর পরে ও থেমে নেই সেই যুবলীগের অত্র ইউনিয়ন সহ সভাপতি মাহবুব চৌধুরীর সন্ত্রাস বাহিনীর দল বিগত ১৯ মার্চ আনুমানিক রাত ১১ :৩০ মিনিটে, ৯ নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: এলাইছ মিয়া তালুকদারের ভাগনা সাদিক তালুকদারের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা এই বর্বর হামলা চালানো হয়।
সাদিক তালুকদারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়েছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দিরাই থানা পুলিশ।