হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরে সিএনজি চালক সুজিত দাস (৩০) হত্যাকারী ৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ছিনতাইকৃত সিএনজি উদ্ধার করেছে র্যাব-৯ এর একটি অভিযানিক দল। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করেছে থানা পুলিশ।
পাগলা – জগন্নাথপুর -আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক এর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর অংশে রানীগঞ্জ সেতু উপর থেকে ১৬ ই নভেম্বর দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত গোপড়াপুর গ্রাম নিবাসী সোহাগ দাস এর ছেলে রানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডের সদস্য সিএনজি চালক সুজিত দাস (৩০) এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ও সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব এর একটি অভিযানিক দল যৌথ ১৮ ই নভেম্বর দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জগন্নাথপুরের চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক সুজিত দাশ (৩০) হত্যা মামলার আসামী জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের শালদিঘা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আলী হায়দার (৩৬), হবিগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার নোহাটি গ্রামের মৃতঃ তরমুজ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (২৬) ও একই জেলার বাহুবল উপজেলার পনারআব্দা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মোঃ শিবলু মিয়া (২০) কে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি হত্যার শিকার সজিত দাশ এর ব্যবহৃত ছিনতাইকৃত সিএনজি ও সুজিতকে যে চুরি দিয়ে জবাই করেছে সে চুরিও উদ্ধার করে। এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের ১৯ শে নভেম্বর জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এই ঘটনায় হত্যার শিকার সুজিত দাস (৩০) এর বড় ভাই সুবাস দাস বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ১৮ ই নভেম্বর জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে ২০ শে নভেম্বর সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ ১৯ শে নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে জগন্নাথপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন , সুজিত দাস হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘাতকদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর ছিল। এক পর্যায়ে র্যাব- ৯ এর প্রযুক্তির সহযোগিতা চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব -৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ ও সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব সদস্যের যৌথ অভিযানে ১৮ ই নভেম্বর রোজ সোমবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক শিবলু মিয়া, আলী হায়দার ও হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। এসময় ছিনতাই করা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকান্ডে আরো জড়িত আছে কিনা এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। ছিনতাই করা অটোরিক্সাটি থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড করেছে বলে স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২০ নভেম্বর আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।