অভিযোগ প্রমাণেও ইবি শিক্ষকের ছুটির শাস্তি, ভিসি ভবনে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫

অভিযোগ প্রমাণেও ইবি শিক্ষকের ছুটির শাস্তি, ভিসি ভবনে বিক্ষোভ

সমকামিতাসহ ২৭টি অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের জন্য তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আবারও আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি বাংলোর সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা একশান টু একশান, ডাইরেক্ট একশান, হাফিজের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশান, সমকামী শিক্ষক মানি না মানবো নাসহ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানা যায়, তদন্ত কমিটিকে সব অভিযোগের প্রমাণসহ উপস্থাপন করেন। ৬ বছর ধরে শিক্ষক হাফিজের নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে শিক্ষক হাফিজুলের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই শিক্ষকের শাস্তি এক বছরের ছুটিকে তারা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

Islamic University 2

শিক্ষার্থীদের দাবি, এত এত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাত্র এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে হাফিজকে আরও শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি পূরণ না হলে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন আরও কঠোর করারও হুঁশিয়ার দেন তারা।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, আমরা তদন্ত কমিটিতে পাঁচজন সদস্য ছিলাম। দুই মাসের মতো সময় নিয়ে প্রত্যেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য নিয়েছিলাম। সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ডকুমেন্টসের ভিত্তিতে সব যাচাই-বাছাই করে আমরা প্রায় ১৭/১৮টি অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছিলাম। আমরা এগুলো উল্লেখ করেই শাস্তির সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। এখন প্রশাসন কোন প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আমি বলতে পারছি না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সেই শিক্ষককের বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা। এর ভিত্তিতে গত বছরের ৮ অক্টোবর ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটির তথ্যমতে অধিকাংশ অভিযোগের প্রমাণ পেলেও সেই শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে এক বছরের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আবারও বিক্ষোভের ডাক দেয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল