মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থীদের গা*জা*র সমর্থনে ঐতিহাসিক ধর্মঘট

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫

মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থীদের গা*জা*র সমর্থনে ঐতিহাসিক ধর্মঘট

 

মেহেদী হাসান তানিম, এমসি কলেজ প্রতিনিধি:

গাজার জনগণের উপর চলমান অমানবিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীকাল ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ঐতিহাসিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। “গাজার জন্য বিশ্বব্যাপী ধর্মঘট” – এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাবে।
আজ ৬ই এপ্রিল, রবিবার কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষ থেকে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আমরা, মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেটের শিক্ষার্থীরা, গাজার জনগণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগামীকাল সোমবার, এপ্রিল ৭ই আমরা এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছি – সেদিন কোনো ক্লাস, ল্যাব বা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে না।”
শিক্ষার্থীরা তাদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করে, “আমরা নীরব থাকতে পারি না যখন একটি জনপদের উপর বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, তাদের অনাহারে রাখা হচ্ছে এবং মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে স্ক্রিনের বাইরে এসে আমাদের কণ্ঠ তুলি – যোগাযোগ করি, প্রতিবাদ করি, সংগঠিত হই এবং কাজ করি।”
এই ধর্মঘটের মাধ্যমে মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং তারা দেশের সকল শিক্ষার্থীদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের স্পষ্ট ঘোষণা, “যতক্ষণ না গণহত্যা শেষ হয়, আমরা ধর্মঘট করব।”
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ছাত্র মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে #StrikeForGaza, #projectRafah, এবং #StandWithGaza হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণের কথা জানাচ্ছে।
মুরারিচাঁদ কলেজের এই ধর্মঘট শুধু একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিই নয়, এটি বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের দৃঢ় অবস্থানের প্রতীক। এমন পরিস্থিতিতে যখন আন্তর্জাতিক মহল দ্বিধাবিভক্ত, তখন একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই সাহসী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে।
আগামীকাল সোমবার মুরারিচাঁদ কলেজের প্রাঙ্গণ নীরব থাকবে, তবে সেই নীরবতা ধ্বনিত হবে বিশ্বজুড়ে, উচ্চারিত হবে গাজার মানুষের মুক্তির দাবিতে। এই ধর্মঘট প্রমাণ করে যে, অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ সর্বদা সোচ্চার এবং তাদের কণ্ঠস্বর সময়ের প্রয়োজনে কতটা জোরালো হতে পারে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল